এ এক অন্য বৈশাখ
চৈত্রের উষ্ণদগ্ধ অগ্নিকুণ্ড
ক্লান্ত শ্রান্ত চরাচর,
প্রার্থনা করি হে নাথ-
বৈশাখের আগমনে শীতল হোক তব ধাম।।
আজি শুভ দিনে পুষ্প কাননে
শুভ্র পুষ্পরাজি,
আনন্দ ধারা বহিয়া চলিছে
স্মৃতিসুধা তুলে থাকি।।
এমনই প্রভাতে জন্মিল শিশু
মাতৃ জঠর ছাড়ি-
শঙ্খধ্বনিতে মুখরিত আজ
নব জাতিকার লাগি।।
শৈশব থেকে ছোট্ট বালিকা
নববর্ষ পালন করে,
নতুন জামায় সুসজ্জিত কন্যা
খুশিতে ঘর আলো করে।।
২৫শে কন্যা পূর্ণ যুবতী
সুন্দরী বুদ্ধিমতী,
সুপাত্রে পিতা কন্যা দান করে
আশিষে আয়ুষমতী।।
সেদিনও ছিল বৈশাখী তিথি
নবদম্পতি ভাবে মনে,
পাহাড়ে কাটাবে মধুচন্দ্রিমা
পাহাড়ি চন্দ্রলোকে।।
দুরুদুরু বুকে, হাতে হাত রেখে
চুম্বনরত নরনারী,
দুচোখে ভরা স্বপ্ন মায়ায়
ভাসাইছে ফুলতরী।।
সকাল হতেই নিভে গেল দীপ
মুহূর্তে চুরমার-
জঙ্গিরা এসে তুলে নিয়ে গেল
একাকিনী অসহায়।।
পাথরপ্রতিমা রহিল নিরব
অশ্রু নাহি দুচোখে,
শুধু চেয়ে আছে আকাশের পানে
নিদারুণ মহা শোকে।।
বৈশাখে শুরু, বৈশাখে শেষ
একটি করুণ গাথা-
এ নববর্ষ বিষাদ বিমর্ষ
মুখে নাহি কোনো ভাষা।।