এবার নীরব করে দাও
আমাকে আবার মৌন হতে দাও-
নীরবতায় নেব প্রাণ ভরা নিঃশ্বাস।
স্নেহপাশ, ভালোবাসা আমার তো নয়!
কেন মিথ্যে খুঁজি তার আশ্বাস?
নীরব হয়েই দেখব রাগ,
দুঃখ ক্ষোভ আর অভিমান প্রকাশ
শ্রবণে ধৌত হয়েই আমার
আত্মশুদ্ধির অবকাশ।
আজীবন আমি অস্মিতের
আরাধনায় নির্বাক হয়ে আছি
দায় নেই মনের গভীর তুলে
ধরার
জীবন যে অনেক বড়!
সংসার! সে তো দুস্তর পারাবার!
আমার স্তব্ধতার মধ্যে রাখা
তরঙ্গের গর্জন
আর পাখির কলরব।
অঙ্গীকারবদ্ধ হলাম আজ
দেব না কিছুই!
বন্ধ মুখ আর বন্ধ আবেগে
রইবে সব।
না পাওয়া গুলো যত্ন করে
সিন্দুকে রেখে দেব চুপিচুপি
জীবনের শেষে দেহ যখন মিশবে ধুলোয়
একবার খুলে দেখ পড়ে
আছে রত্নের ঢিবি।
শুধু মেনে নিতে হবে এই-
আমি বহু যত্ন করে
মিথ্যে অপত্য তৈরি করে ছিলাম।
কে আমি! কারো কেউ না-
মানহীন, মনহীণ, আবেগ রোহিত জ্বলন্ত চলমান মাংসপিন্ড।
আমার চোখ বুজে আসছে।
দেখতে পাচ্ছি শুধু সাগরের
ওপার থেকে শত শত শিশু ধেয়ে আসছে, বলছে
মা! আমাদের জড়িয়ে ধর।
আমি শব্দহীন -
শুধু হাত না বাড়িয়ে পারলাম কই!
অপয়া, মুখোশাবৃত, কুৎসিত -
তবু মা তো!