আমার বৃষ্টি চাই
বৃষ্টি কখনও একা আসেনা ধরায়,
বন্ধু যে তার ঘর্ষণ আর বাজ,
তাই দগ্ধ হয়ে ভিজবো বলে ভাবি,
মাথায় তখন বজ্রপাতের তাজ।
তখন আমি ফিরি আপন কুলায়,
বুকে নিয়ে শুধু আগুনের বিষ জ্বালা,
প্রেম যে আমার আকাশ কুসুম মাঝে,
অলীক ফুলে সাজায় শূন্য ডালা।
সাগর তো নেয় বৃষ্টি ধারার জল,
সেই জলই তো মেঘবালিকা হয়ে,
আকাশ পুরে ভাসতে উড়ে যায়,
আবার আসে সাগরের সুখ সয়ে।
আকাশ বুঝি ওই দূরে, আরো দূরে,
মেশে যখন সাগর শেষের রেখায়,
বলছে 'সাগর! দেবে আমায় তুমি?
তোমার বৃষ্টি ক্ষণিকের তরে আমায়?'
সাগর বলে 'বৃষ্টি সে তো আমার!
তোমার বুকে যায় সে মেঘ হয়ে
পার যদি রাখো না ধরে তাকে!
আহ্লাদী নয় থাক সেই সুখ সয়ে।'
বৃষ্টি-স্নাত নদের জলে যত-
জোয়ার ভাটা খেলা করে উল্লাসে,
সেও তো গায় বৃষ্টি পাওয়ার গান,
সেও তো বাঁচে বাণ ভাসি উচ্ছ্বাসে।
আকাশ শুধু পায়না বৃষ্টি জল,
পাওয়ার আশা ফাটায় যে তার বুক-
মহাকাশের লীলা খেলায় মেতেও
পায় না যে সে বৃষ্টি পাওয়ার সুখ।
একদিন যদি আনমনা বর্ষায়,
আকাশ ধরণী প্রলয় সম্ভাষণে-
দেখে নতুন হয়েছে গল্প গাঁথা,
নতুন ধরণী সেজেছে রণাঙ্গনে।
সাগর বলেছে 'বৃষ্টি আমার একার'
আকাশ বলেছে 'বৃষ্টি আমার চাই'
বৃষ্টি বলে 'মাটির গভীরে আমি
হারিয়ে যাওয়ার পেয়েছি যে এক ঠাঁই।'