আনন্দ ও নিরানন্দের সমাগম
ঘন কালো মেঘে ছেয়েছে দিগন্ত
ঝরবে বৃষ্টি মুষলধারে চারিদিকে।
কবিরা করবে তোমার রূপের জয়গান;
ভিজবে শরীর পাবো তোমার স্পর্শ
উড়বে আমার এলো কেশদাম,
উড়বে নীলাম্বরী ওড়না তুমি দিও সরিয়ে,
নৃত্য করবো ময়ূরীর মতো,
তখন তুমি জড়িয়ে ধরে -------
রিমঝিম করেই না হয় ঝোরো।
তুমি আসলেই আসবে বাড়িতে ইলিশ
তোমার সাথে ভিজতে ভিজতে
ইলিশ মাছ ভাজা যে আমার চাই।
সকালবেলা তোমার ধারায় নাচে
গাছের পাতা দেখি জানালা দিয়ে।
কৃষক বীজ বোনে সকাল সন্ধ্যা
তলিয়ে যায় শস্য বানের অথৈ জলে।
ভুনো খিচুড়ি আর ইলিশভাজায়
সারি মধ্যাহ্নবেলার ভোজন।
হাসনুহানা আর কদম ফুলের
গন্ধে আকুল হয় মন পাগলপারা।
বিকেলে হলেই আয়েসে বেরোই গাড়ি নিয়ে,
কোন এক গ্রামের উদ্দেশ্যে,-------
মন আনন্দে নেচে উঠে জল দেখবো বলে,
যে দিকে তাকাই শুধুই জলরাশি-----
পথের পরে তাঁবু টাঙায়ে রয়েছে মানুষ,
সব গেছে জলে ডুবে একেবারে নিঃসম্বল,
কেউ পায় ত্রাণ কেউবা পায় না।
অনাহারে কাটে দিন ঝরে অশ্রুবিন্দু
ভাসছে কচুরিপানা, ভাসছে মৃত গবাদি পশু,
দুর্গন্ধে এরানো দায়, রুমাল নিয়ে হাতে,
হঠাৎ দেখি পেছন ফিরে বেজায়
হা হা কার কান্নার শব্দ,--------
দাঁড়ায়ে দেখি সর্প দংশনে মৃত এক যুবক!
নিকটে যেতেই আঁতকে উঠি আমি
আমার চেনা সেই সবজি বিক্রেতা!
তাঁর নববিবাহিতা অষ্টাদশীর নয়নে অশ্রুবিন্দু,
আর বুক ফাটা হা হা কার
সিঁথিতে চওড়া সিঁদুর, কপালে বড় টিপ,
সব যে গেলো বৃষ্টির বানের জলে ধুয়ে!
সর্বহারা সর্বশান্ত অষ্টাদশী রমণী,
ভবিষ্যৎ তার কাছে এক---------
অজানা অচেনা পথ।