হাসনুহানা
অনেকটা পথ পেরিয়ে ,
তোমার কাছে হাসনুহানা,
আমার ব্যালকনির এই চৌহদ্দি,
তোমার সাথে পূবালী হাওয়া,
আর তিরতিরে বৃষ্টি,
ধোঁয়া ওঠা কফিতে চুমুক,
আমার ঘরে এক পশলা,
নরম পেলব বৃষ্টি।
তোমাকে দেখে কবিতা,
তোমাকে ছুঁয়ে গান,
নরম সোঁদা মাটির গন্ধে,
আমার হর্ষে নিষিক্ত-
শ্রাবণ ধারাপাত।
তোমার সাথে দেখা,
বৃষ্টি কেন তুমি এসময়ে?
মাঠের ধারে আমার ভাঙা ছাতা,
সর্বাঙ্গ যায় ভিজে,
আমার খোলার চালে
তুমি যখন ঝরে পর,
আঁচল দিয়ে ঢেকে রাখি,
আমার ছোট্ট সন্তান
এখনো হয়নি বড়,
রোজ সকালে বাবুর বাড়ি,
রোজ সাঁঝে মাটির ঘরে,
বৃষ্টি তুমি ভাসিয়ে দিও না,
এই অসহায়ের সম্বল কে,
তবু আষাঢ়ের মেঘ,শ্রাবণ বারিধারা----
বৃষ্টির নেশার কারোর রং-তুলি,
কারোর আবার আঁচলের আশ্রয়ে,
সন্তানকে নিয়ে লড়াই করা,
তবু হাসনুহানা ফোটে আর ঝরে-
তবু বৃষ্টি সৃষ্টি আর ধ্বংসের মাঝে।