প্রকৃতি সাধক রবীন্দ্রনাথ
বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন প্রকৃতি প্রেমী। তাঁর রচনা ভাণ্ডার গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস,নাটক প্রভৃতিতে সমৃদ্ধ। তিনি ছিলেন চিত্র শিল্পী ও সঙ্গীতজ্ঞ। তিনি বাংলা সাহিত্যের একজন অগ্রণী ব্যক্তিত্ব , প্রথম এশীয় হিসেবে সাহিত্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হন।
প্রকৃতি প্রেমী রবীন্দ্রনাথ প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে গভীর সম্পর্ক স্থাপন করেছেন তাঁর রচনার মাধ্যমে। 'জল পড়ে, পাতা নড়ে ' দিয়ে তাঁর লেখার শুরু।এই প্রকৃতির আকাশ, মাটি, গাছপালা,নদী, পুকুর,মাঠ,হাট, গ্রাম গঞ্জ,পশু, পাখি,ফল, ফুল কোন কিছুই তাঁর ভাবনা থেকে বাদ পড়ে নি।
গাছে ঘেরা শান্তিনিকেতন তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি সেখানে আম্র কুঞ্জের তলায় পড়াশোনা তাঁর প্রকৃতি প্রেমের প্রমাণ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহজপাঠ দিয়ে ছোট বেলা শুরু হয়। ছোট ছোট শিশুরা প্রকৃতিকে তাঁর রচনার মধ্যে দিয়ে।
যেমন - 'কুমোর পাড়া ', 'আমাদের ছোট নদী',
'তাল গাছ', প্রভৃতির মধ্যে দিয়ে।
দুই পাখি, সবুজের অভিযান, নৌকা ডুবি,খেয়া,অমল ও দইওয়ালা এরকম অগণিত লেখা আমরা পাই যেখানে প্রকৃতির ছোঁয়া পাই।
আমার সোনার বাংলা, ও আমার দেশের মাটি, গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙা মাটির পথ,বাঙলার মাটি বাংলার জল , এরকম অজস্র গান আছে যেখানে দেশমাতৃকার প্রকৃতির বর্ণনা আছে।
তিনি মনে করতেন প্রকৃতির মাঝে বেড়ে উঠলে মানসিক শিক্ষার বিকাশ হয়। তাঁর প্রকৃতি সম্পর্কিত ধারণাগুলো কেবল সাহিত্যিক নয়। বরং শিক্ষাগত ও দার্শনিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক গভীর করে তুলেছেন এবং পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন,যা আজও প্রাসঙ্গিক।