মহালয়ার ভোরে
ঠিক যখনই যখনই,
অশুভ শক্তি জেগে ওঠে,
মা দূর্গা আবির্ভূতা হন,
বেজে ওঠে রনডঙ্কা।
আশ্বিন মাসের শরতের সকাল হোক,
অথবা বসন্তকালে চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষ,
মা আসেন,অশুভ শক্তি বিনাশে,
মর্ত্যবাসীদের আরাধনায় মেতে ওঠে ভুবন।
মহালয়ার প্রারম্ভে,
বাজে মায়ের আলোর বেনু,
পিতৃপক্ষের সমাপ্তি,দেবীপক্ষের আরম্ভে,
জবাকুসুম ভোরে পিতৃপুরুষের উদ্দ্যেশ্যে তর্পন।
মাতৃশক্তি বন্দনায় বিভোর,
স্বর্গ থেকে মর্ত্য,মা জাগেন,
অস্ত্র বস্ত্র অলঙ্কার প্রদানে হন সুসজ্জিত,
হাতে থাকে মহাদেবের ত্রিশুল।
মায়ের হাতে সজ্জিত অস্ত্রের সাথে,
থাকে বরাভয়মুদ্রা,
অসুর দমন করে মা,
ফিরে যান কৈলাস।
মায়ের মৃন্ময়ী থেকে চিন্ময়ী রূপে,
মুগ্ধ গোটা বাঙালী জাতি,
সারা বছর অপেক্ষার অবসান ঘটে,
মহালয়ার ভোরে,মায়ের আগমনে।