Logo
logo

ঘরে-বাইরে / লাইফস্টাইল

রান্নার ইতিকথা (জানুয়ারি মাসের বিষয়): পিঠে

পিঠে, এই কথাটার সঙ্গে আমরা সকলেই পরিচিত। কিন্তু এই কথাটার অর্থ বা এই কথাটা প্রথম কবে এসেছে তা নিয়ে আমাদের কাছে সঠিক তারিখ বা তথ্য কোনটাই নেই। তবে আমরা ইতিহাসের পাতা থেকে যেসব তথ্য গুলো তুলে নিয়েছি তার মধ্যে, পিঠের আবিষ্কার হয়েছে প্রায় বলা যেতে পারে আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে। খাদ্যশস্যের সঙ্গে মানুষের খাদ্য তৈরীর প্রক্রিয়া শুরু হয় আজ থেকে বহু বছর আগে। মানুষ সবার প্রথমে কাঁচা শাকসবজি এবং পরবর্তীকালে তাকে আগুনে ঝলসে এবং তার ও পরবর্তীকালে তাকে পরিপাক করে খাওয়ার পদ্ধতির আবিষ্কার আমাদের সকলেরই জানা... খাদ্যশস্য আবিষ্কার হওয়ার পর মানুষের খাদ্যাভাসে এসেছে নানান পরিবর্তন। আমরা যদি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করি তাহলে আমরা দেখব, বহু প্রাচীন সময় থেকে ওই সকল দেশগুলোতে, খাদ্যশস্য উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে সেই খাদ্যশস্য কি সবার প্রথমে ভগবানের উদ্দেশ্যে দান করা এবং ভগবান কে প্রথম এই খাদ্যশস্য দিয়ে তৈরি নানান খাবার প্রদান করা হতো। সেই সময় থেকে চলে এসেছে তা বর্তমান সময়ে আমরা দেখতে পাই তবে ইতিহাসের পরিবর্তিত রূপ এর সঙ্গে খাদ্যের অভ্যাস এবং খাদ্যের পরিবর্তন আমরা সবাই দেখেছি। ইতিহাসের পাতায় যেখানে , সবার প্রথমে রুটির আবিষ্কার হয় তা আরো অনেক পরে কেক এবং আস্তে আস্তে প্যানকেক এবং আরও বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তিত রূপ আমরা দেখি তেমনই পিঠের ইতিহাস যখন আমরা আলোচনা করব তখন সবার আগে জানা দরকার এই পিঠের অর্থ এবং এই শব্দটি প্রথম কোথা থেকে এসেছে। এই সম্বন্ধে বর্তমানে আমাদের সঠিক কোন তথ্য এই মুহূর্তে আমাদের হাতে নেই তবে ইতিহাসের বিভিন্ন পরিবর্তিত রূপ থেকে, জানা যায় প্রাচীন ভারতে এই রিত প্রচলিত আছে যেখানে সবার প্রথমে খাদ্যশস্য ভগবান ও ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে সবার আগে প্রদান করা হয় , পরবর্তীকালে সেই খাদ্যবস্তু এবং খাদ্যশস্য মজুদ করা হয় হামার এবং বিভিন্ন ছোট বড় সরাইখানা গুলোতে তবে, ভারতের বৈচিত্র্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মধ্যে দিয়েই, পিঠে পুলি উৎসব আমাদের মধ্যে প্রচলিত ঈদ হয়ে গেছে আমাদের ভারতবর্ষে পিঠেপুলি বিশেষত আমরা দেখতে পাই দক্ষিণ ভারতের কিছু অংশে এবং পূর্ব ভারতের বেশ কিছু জায়গায় আমরা পিঠের প্রচলন দেখতে পারি তবে এই পিঠে শুধুমাত্র ভারতবর্ষেই নয় ভারতবর্ষের বাইরে ও ঐতিহ্য কিছু কম নয়। পিঠের মধ্যে দিয়ে আমরা আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যর নানা রূপ দেখতে পাই যেখানে আমরা দেশের বাইরে , বাংলাদেশেও এই পিঠের ঐতিহ্য কিছু কম নয় বিভিন্ন ধরনের পিঠা সঙ্গে নকশি পিঠা পুরো পৃথিবী বিখ্যাত এছাড়াও এই পিঠে পুলি উৎসব সারাবছর ধরে আমাদের মধ্যে চলে তবে এর মাহাত্ম্য আমরা পাই, পৌষ সংক্রান্তি সময় আমাদের দেশের ঐতিহ্য এবং রেওয়াজ আছে প্রথম উৎপাদন করা খাদ্যশস্য প্রদান করা হবে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে এবং উদ্দেশ্য সাধনের মধ্যে দিয়ে পিঠে পুলি.. এই পিঠে পুলি উৎসব আমাদের দেশে আঞ্চলিক কিছু কথার মধ্যে দিয়েও পালন করা হয় তেমনই একটা কথা উঠে আসে ইতিহাসের পাতা থেকে তার নাম হলো টুসু উৎসব.... টুসু উৎসব এর কথা অল্পবিস্তর প্রায় আমাদের সকলেরই জানা তবে ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায় এই উৎসব বা পূজা কেন করা হয় এবং উৎসব করা হয় তার পেছনে রয়েছেন দেবী ,...তিনি হলেন মা লক্ষ্মী তবে এই মায়ের মায়ের পুজো কেন প্রচলিত হয় তারও এক ইতিহাস রয়েছে চলুন ইতিহাসে একবার চোখ রাখা যাক.... অতীব প্রাচীনকালে এক বহু রূপবতী গুণবতী এক রাজকুমারী ছিলেন তার নাম টুসু তাকে দেখতেই এবং তার রূপে মুগ্ধ ছিলেন না এমন মানুষ বোধহয় কম তবে এই সুন্দরী রূপবতী গুণবতী টুসুর প্রতি নজর পড়ে এক পরাক্রমী বিদুষী রাজকুমারের এবং সেই রাজকুমার এই যুগে বিবাহ করতে চান তার প্রতিবাদ... অনেক অনেক চেষ্টা করেও যখন রাজকুমারীকে এবং রাজ্যকে রক্ষা করতে পারলেন না সেই বিদুষী ....তখন তারা সকলেই সাগরে ঝাঁপ দেন এবং এরপরেই আর কোনদিনও তাদের দেখা পাওয়া যায়নি পরবর্তীকালে লোকমুখে প্রচারিত সেই রাজকুমারী দেবী স্বপ্নাদেশ দেন এবং পরবর্তীকালে তাই এই টুসু পুজোর আয়োজন করা হয় এবং .... আমরা বিভিন্ন ধরনের পিঠা পুলির কথা জানি এছাড়া আমাদের দেশের নানা ধরনের পিঠা পুলির আঞ্চলিক পদ্ধতিতেও তৈরি করা হয় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পিঠেপুলির স্বাদ এবং বর্ণ হয় একদমই ভিন্ন তাই একে কোনভাবে পিঠে এই শব্দ টা দুই অক্ষরের হলেও এর প্রভাব এবং বিস্তার রয়েছে প্রচুর...... আগামী দিনগুলোতে আপনারা শ্রীমতির দরবারের এই প্রেক্ষাপটে পাবেন পিঠে পুলি সংক্রান্ত নানান তথ্য এবং পিঠে পুলির বিভিন্ন রেসিপি যা আমাদের পুরনো দিনের ঐতিহ্যকে আরো একবার আমাদের সকলের সামনে তুলে ধরতে সাহায্য করবে।

Contact US

Tel: 9903329047 / 8697419047
Email: sreemotirdarbar@gmail.com