রান্নার ইতিকথা (জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারী মাসের বিষয়): পিঠে
ভারতবর্ষের নানান রূপে পিঠে বৈচিত্র আমরা প্রায় সর্বত্রই দেখি যদি আমরা উত্তর ভারতে খেয়াল করি তাহলে সেখানেও পিঠে তৈরি হয় তবে সেখানে পিঠে তৈরীর পদ্ধতি একদমই আলাদা সেখানে অনেক সময় আমরা দেখে থাকি, চালের পরিবর্তে অন্যান্য খাদ্য শোষণ এখানে ব্যবহার করা হয় , আবার আমরা যদি দক্ষিণের দিকে চোখ রাখি তাহলে দক্ষিণ ভারতীয় নানান ধরনের পিঠা তৈরি করা হয় , তবে এদের এখানে পিঠে তৈরীর পদ্ধতি একদমই আলাদা এখানে অনেক সময় আমরা দেখে থাকি নারকেল নারকেল দুধ এবং অন্যান্য খাদ্য শস্যের সঙ্গে এরাও পিঠে তৈরি করে ঠাকুরের উদ্দেশ্যে প্রদান করে, তেমনি পশ্চিমবাংলাতে বিভিন্ন ধরনের পিঠা এবং তার সঙ্গে সঙ্গে নানান বৈচিত্রের উপর আমরা দেখতে পাই, বর্তমানে বিশ্বের দরবারে , পিঠেকে আরও সুন্দরভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পিঠা পুলি উৎসব আমাদের দেশের প্রত্যেক বছরে অনুষ্ঠিত হয় এবং শুধুমাত্র ভারতবর্ষের ইতিহাসে নয়
ভারতবর্ষের বাইরে ও পিঠে পুলি উৎসব অনুষ্ঠিত হয় এর মধ্যে দিয়ে যারা , এই পিঠেপুলি কে নবরূপে প্রতিষ্ঠা করা হয় সকলের সামনে, সারা পৃথিবীতে প্রায় ২৫০ ধরনের থেকেও বেশি রকমের পিঠা তৈরি করা হয়,এর সঠিক পরিসংখ্যান এখনো বলা সম্ভব নয়, এবং এই প্রত্যেকটা পিঠের রূপ একে অপরের থেকে আলাদা স্বাদ একে অপরের থেকে আলাদা, পিঠের একটা প্রচলিত রীতি অনুযায়ী এটা তৈরি করে ভগবানের উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়, জগন্নাথ ধামের বারো মাসে তেরো পার্বণের শ্রী জগন্নাথের নানা ধরনের পিঠা তৈরি করে দেওয়া হয় তবে , তবে তার মধ্যে সবথেকে প্রিয় হল পোড়া পিঠা কিন্তু এই পিঠটা না পুড়িয়ে তৈরি করা হয় এটাই হলো এই পৃথিবী বিশেষত্ব, লোকমুখে প্রচারিত আছে জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়িতে এই পোড়া পিঠা খাওয়ার জন্যই যান এবং তার সঙ্গে থাকে আরও নানান ধরনের ব্যঞ্জন , তেমনি দক্ষিণ ভারতীয় চন্দনকাঠের তিথি বলে একটি প্রসিদ্ধ পিঠে প্রচলিত আছে, আমাদের দেশে পিঠেপুলি কে নিয়ে এমন সুন্দর সুন্দর অনেক তথ্য রয়েছে, পঠের প্রকারভেদ করতে গেলে সবার আগে নিরামিষ আমিষ এই দুই ধরনের পিঠের কথা উঠে আসে, সারা পৃথিবীতে প্রায় দেড়শ রকমে আমিষ পিঠের উল্লেখ করা যেতে পারে,, মাছ দিয়ে ,পিঠে মাংস দিয়ে পিঠে,, ডিম দিয়ে পিঠা আহার এই আমিস পিঠের তালিকায় রয়েছে নানা ধরনের পিঠে, বর্তমানে কিছু পিঠের রয়েছে যেগুলো বহুলভাবে পরিচিত বিভিন্ন ককটেল পার্টিতে , আজকাল পিঠে কে পরিবেশন করা হচ্ছে তবে এর রূপ এবং রং একদমই আলাদা সেক্ষেত্রে আপনি যে জিনিসটা খাচ্ছেন , সেটাকে চেয়ে পিঠে বলে সেটা যদি কেউ আপনাকে না বলে তাহলে সেটা আপনি বুঝতে পারবেন না,
সত্যি পিঠে দুই অক্ষরের হলেও এর প্রভাব বিস্তার অনেক বিপুল তাই হয়তো একে এই অল্প কিছু কথার মধ্যে দিয়ে ধরে রাখা সম্ভব নয় তাই এই ছোট্ট একটা প্রয়াস যার মধ্যে দিয়ে পিঠে কে আরো সুন্দরভাবে জানা আরো নতুন ভাবে পিঠের রূপকে চেনো..... আগামী দিনে পিঠের ইতিকথায় থাকছে এমনই অনেক অজানা পিঠের রেসিপি তাই অবশ্যই চোখ রাখুন শ্রীমতি দরবারে।