Logo
logo

ঘরে-বাইরে / লাইফস্টাইল

নিজেকে ভালো রাখতে শীতকালীন মেনুতে যে খাবারগুলি অবশ্যই রাখবেন

শীতকাল মানেই যেমন পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের সাথে ঘুরতে যাওয়া, পিকনিক করা এগুলো হয়েই থাকে, ঠিক তেমনি বেশ কিছু শারীরিক সমস্যার সম্মুখীনও আমাদের হতে হয়, যেমন সর্দি-কাশি, জ্বর এবং সর্বপরি বর্তমানে অতিমারীরূপী করোনা। তাই শীতকালে নিজেকে সুস্থ রাখতে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবারের সাথে সাথে নিয়মিত শরীরচর্চা খুবই জরুরি।

শীতকাল মানেই বাজারে রকমারি শাকসব্জির সম্ভার। আর নিজেকে সুস্থ রাখতে, ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে, হার্টকে ভালো রাখতে খাদ্যতালিকায় অবশ্যই শাকসব্জিকে প্রতিদিন রাখুন। প্রতিটি শাকসব্জি কোনো না কোনো অত্যাবশ্যকিয় নিউন্ট্রিএন্টস যেমন ফাইবার, বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন (এ, সি, বি-কমপ্লেক্স ইত্যাদি) ও মিনারেলস (আয়রন, ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি)-এ পরিপূর্ণ, যা শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার কে ভালো রাখতে সাহায্য করে।

শীতকালীন ফল যেমন আপেল, কমলালেবু ইত্যাদিকে অবশ্যই নিজের ডায়েটে রাখবেন। ফলে থাকা অত্যাবশ্যকীয় নিউন্ট্রিএন্টসগুলি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস্ রূপে কাজ করে, যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।

শীতকাল মানেই গুড়ের সময়। প্রায় প্রতি বাড়িতেই এইসময় গুড় দিয়ে বিভিন্ন প্রকার পদ বানানো হয়েই থাকে। গুড়ে যে শুধুমাত্র ক্যালোরি থাকে তা নয়, বেশ কিছু নিউন্ট্রিএন্টস যেমন আয়রন, ক্যালশিয়াম, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, কিছু বি-ভিটামিন ইত্যাদি থাকে, যা চিনিতে থাকে না। গুড় রক্তকে বিশুদ্ধ রাখতে, অ্যানিমিয়াকে দূর করতে, হজম শক্তিকে বাড়াতে এবং এনার্জি প্রদানে সাহায্য করে। তাই শীতকালে গুড়কে ন্যাচারাল সুইটনার হিসাবে অবশ্যই ডায়েটে রাখতে পারেন। তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ রেখে খাওয়া প্রয়োজন।

স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হিসাবে শীতকালে বিভিন্ন প্রকার বাদামকে অবশ্যই ডায়েটে রাখতে পারেন। বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে হার্টকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় বাদামে প্রোটিন, বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন যেমন নিয়াসিন, ফোলেট, ভিটামিন-ই ইত্যাদি, মিনারেলস (ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, কপার, ফসফরাস, পটাশিয়াম ইত্যাদি) থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি।

শীতকালে গরম পানীয় খেতে কার না ভালো লাগে। তাই গরম গরম চা, কফির মতো গরম স্যুপ বা স্টু -কেও নিজের ডায়েটে রাখতে পারেন। বাচ্চা থেকে বড়ো সকলেই বিভিন্ন রকমের স্যুপ যেমন সব্জির স্যুপ বা চিকেন স্যুপ সব্জি সহযোগে বা টমেটো স্যুপ ইত্যাদি খেতে পারেন। পুষ্টিগত দিক দিয়ে এটা যেমন খুবই উপকারি ঠিক তেমনি ঠান্ডার সময় গরম পানীয় হিসাবেও কিন্তু খেতে বেশ।

শীতকালে তেষ্টা কম পাওয়ার জন্য অনেকেই জল কম খান। যার ফলে শরীরে ডিহাইড্রেশন হওয়ার একটা বড়ো সম্ভাবনা থাকে। অত্যধিক ডিহাইড্রেশনের ফলে শরীরে নানা প্রকার উপসর্গ যেমন মাথা ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, শারীরিক দুর্বলতা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। তাই প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস জল অবশ্যই পান করবেন এবং ২.৫-৩ লিটার পানীয় (জল, স্যুপ, স্টু, ফলের রস ইত্যাদি) পান করবেন।

Contact US

Tel: 9903329047 / 8697419047
Email: sreemotirdarbar@gmail.com