Logo
logo

সাহিত্য / কবিতা

আমার চোখে নববর্ষ

নববর্ষ মানেই চৈত্র সংক্রান্তি কে বিদায় দিয়ে বৈশাখকে আহ্বান জানানো। হালখাতার সূচনা। বাংলার মুঘল সুবেদার মুর্শিদকুলি খান প্রথম এই রীতি শুরু করেন। যার অর্থ ভূমি রাজস্ব আদায়ের দিন। মুঘল সম্রাট আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের সঙ্গে মিষ্টি আদান-প্রদান শুরু হয়। এখন এই হালখাতা মানেই লক্ষ্মী গণেশের পুজো, মন্দিরে মন্দিরে উপচে পড়া ভিড়,নতুন খাতায় মঙ্গল চিহ্ন স্বস্তিকা আঁকা, নতুন পঞ্জিকা, নতুন জামা কাপড় পরা, কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া দাওয়া ও একে অপরকে নববর্ষের শুভেচ্ছা আদান-প্রদান ইত্যাদি।এই বৈশাখ মাসে শুধু নববর্ষ নয় এছাড়াও রয়েছে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম, বৈশাখী মেলা, আম ,কাঠাল এর গন্ধ ইত্যাদি। আমি গর্বিত আমি বাঙালি।
এই দিনটি বাঙালি জাতির কাছে এক ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন।
এই পহেলা বৈশাখে আমাদের বাড়িতে এক বিশাল খাওয়া দাওয়ার আয়োজন হতো। আমার মা কাকীমাদের পরনে থাকত লাল পাড় সাদা শাড়ি আর বাবা কাকা পড়তেন গিলে করা পাঞ্জাবি ধুতি, আর আমরা সব বোনেরা অপেক্ষা করে থাকতাম আমার মায়ের হাতে তৈরি সুন্দর একই রকম সুতির ফ্রক পড়তে, মাথায় ফিতে দিয়ে বেনি বাঁধতে, আর সব ভাই বোনেদের সাথে লাল মেঝেতে মায়ের হাতের বোনা আসনে বসে কলাপাতায় ভুরিভোজ করতে। সঙ্গে থাকতো ভাই বোনেদের সাথে খুনসুটি, কে পেলো কম কে পেল বেশি ও আরো অনেক কিছু। সেদিন থাকতো বাড়িতে মিষ্টির ভান্ডার, সেদিন ছিল না কোন বারণ। এই দিন বাবা কিনে আনতেন নতুন পঞ্জিকা। এই পঞ্জিকা উনি হাতে ধরে শিখিয়েছিলেন কি হয় গতে, মধ্যে, প্রবৃত্তি ও নিবৃত্তি। ঐদিন
বিকেল হলেই বাবা নিয়ে যেতেন দুটি দোকানে, যেখানে খাওয়াতো আমাকে ঠান্ডা শরবত আর দিত মিষ্টি ও বাংলা ক্যালেন্ডার। এখন সবটাই মনের মনি কোঠায় স্মৃতি হয়ে রয়েছে।

Contact US

Tel: 9903329047 / 8697419047
Email: sreemotirdarbar@gmail.com