আজো স্বাধীনতার আশায়
স্বাধীনতা? এর মানে কি বল তো?
নিজের ইচ্ছায় নিজের অধীনে থেকে কিছু করা,অর্থাৎ স্ব+অধীন।আজ স্বাধীনতার ৭৭ বছর পূর্ণ হওয়ার পর ও সত্যিই কি আমরা স্বাধীন? এটাই এখন বড় প্রশ্ন,২০০ বছরের ইংরেজের অধীন পারাধীনতা নাগপাশ থেকে ইংরেজ ভারত ছাড়ো ধ্বনিতে, কত কষ্টে,কত রক্তক্ষয়ে কত আত্মত্যাগের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা এসেছিল ।ভারতের আকাশের বুকে আমাদের ভালবাসার তিরঙ্গা পতাকা উড়ে ছিল ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগষ্ট ।অথচ এই দিনটি এলেই সেই উড়তে থাকা পতাকার দিকে চেয়ে মন বলে ওঠে দেশ আমাদের স্বাধীন হয়েছিল ঠিকই কিন্তু দেশের মাটিতেই দাঁড়িয়ে ই আমাদের পায়ে আজো শিকল বাঁধা ,সেই শিকল আমাদের পায়ে দগদগে খাঁ করে দিয়েছে তবু সেই শিকল ভেঙে কিছু তেই মুক্ত হতে পারিনি আমরা। তাই আজ যেন নিজের মাটিতে আমরা নিজেদের মানুষের কাছেই পরাধীন।
কবে মুক্ত আকাশের মুক্তির স্বাদ নিয়ে এই পায়ের শিকল ছিঁড়ে মুক্ত বিহঙ্গের ন্যায় উড়তে পারবো আমরা? সেটাই প্রশ্ন এখন ,আদৌ কি সেটা সম্ভব হবে?
একটু একটু করে যেভাবে সমাজিক অবক্ষয় আমাদের ঢেকে দিয়েছে তাতে করে হয়ত কখনো ই আমাদের স্বাধীনতা পাওয়া সম্ভব নয় ।আমরা ইংরেজদের কাছের থেকে ও আরো পরাধীনতার জালে জরিয়ে পরেছি যেখানে মুক্তির পথ একেবারেই বন্ধ,চোখ থাকতে ও আমরখ কেমন সকলে অন্ধ ,মুখ থাকতেও বলা ক্ষমতা আমাদের রুদ্ধ।
আমার মতে স্বাধীনতা হল সকলের সমান অধিকার, যা কিছুই টা হয়ত পেলেও, এখনো মেয়ে সন্তান ছেলে সন্তানের মধ্যে বিভেদ করা হয় ।এখনো রাতে অন্ধকারে নিরাপদে হাঁটতে পারিনা।মা সন্তানকে স্কুল ,কলেজে পাঠিয়ে সঠিক ভাবে বাড়ি না ফেরা পযর্ন্ত ভয় পায়। ধনী লোকেরা অর্থের জোরে সবাই কে পকেটে পুরে রাখেছে ,অসহায় খেটে খাওয়া মানুষ কেঁদে মরে,ঘরে ঘরে ভাইয়ে ভাইয়ে হিংসা মারামারি,লোভ অরাজকতা বাটপার ,চোরে দেশ ছেয়ে গেছে,কিছু বলার শক্তি আমাদের নেই ভয়ে ,বলেছো কি তোমার অস্তিত্ব থাকবেনা ।বিভিন্ন রকমের নেশা ,মদ ,গাঁজা ,নারী কোন কিছুই বাদ নেই আজ নতুন প্রজন্মের, গরিব মানুষদের মানুষ বলে মনে করেনা কেউ,রাতের অন্ধকারে পিষে মারছে তবঙ বিচার বলে কিছুই নেই ,কাকে মারছে ,কাকে কাটছে,কাকে তুলছে ,কার ইজ্জত লুটছে সব ক্ষমতা বান মানুষের হাতে ,কোনকোন বাড়িতে নারীদের উপরেও চলে মানসিক ,শারীরিক অত্যাচার যেখানে পুরুষের সাথে একনারী আর এক নারীর শত্রু, পণের জন্য বিয়ে হচ্ছে না কত মেয়ের, কত মেয়ে পণের বলি ও হচ্ছে।ফর্সা মেয়ের বাজারদর বেশি কালো মেয়ের থেকে ,তার শিক্ষা ,গুন সব কিছু ই ওই রঙেই বির্চায্য।প্রকৃত শিক্ষিত রা আজ বেকার আর ক্ষমতার বলে অশিক্ষিত পাচ্ছে পদ ,কেবল নারী হয়ে নিজের কথাই বা বলবো কেন ক্ষমতার জোর মেয়েরা ও এখন কম যায়না। এর ফলে অনেক পুরুষ ও পরছে বিপদে ,সঠিক বিচার আজ পাওয়া মুসকিল, যুবতীর সাথে বুড়ি ,এমন কি চার বছরের শিশুও পুরুষের লালসার শিকার হচ্ছে ,কেবল শিকার করছেনা রাস্তায় ঘাটে অফিসে গাড়িতে স্কুল কেউই বাদ দিচ্ছেনা নারীর দেহের প্রতি লোভাতুর দৃষ্টি দিতে।দুঃখ লাগে যখন শুনি বাবা,দাদু কাকা মামা ভাই এরাও বাদ দেয়না তাদের ই ঘরের মেয়েদের প্রতি শোষনে। যতই আমরা ছেলে মেয়ের বিভেদ আজ দেখিনা কেন তবুও যেন মেয়েরা আজ ও ভোগ্যবস্তু ছাড়া পুরুষের চোখে আর কিছু না।সত্য আজ লুকিয়ে চলে মিথ্যার কাছে ,প্রতিটা ক্ষেত্রে ই আজ বেঁচে থাকতে চলছে জুয়া বাজি ,নেশার ধোঁয়ায় সারা সমাজ নেশাগ্ৰস্ত তারা জ্ঞান শূন্য হয়ে কেবল তান্ডব করে চলেছে।আজ নিজের ভাইয়েদের কাছেই ক্ষমতাবান মানুষের পা চেটে যেখানে থাকতে হয় ,চারিদিকে শুধু অবক্ষয় পাপে ছেয়ে যাচ্ছে দেশ। এ কেমন স্বাধীনতা? যেখানে বলার ক্ষমতাই হরণ করা সকলের ,সকল থেকেই চাটুকারী ,তোষামোদি ,পা চাটা মানুষের ছড়াছড়ি ,যারা পারবেনা তারা সমাজের বাইরে তাদের মুখ ,চোখ ,বাঁধা প্রতিবাদ আজ শিকল বাঁধা একটা ভয়ের বাতাবরণে কেবল দিন জাপন।এটাই কি স্বাধীনতা।প্রতিটি মানুষ যদি স্বাধীন ই হবে তাহলে মানুষের কোন ক্ষতি না করে,কারুর পেছনে অহেতুক না লেগে , অপমান না করে ,অর্থের অহংকার না দেখিয়ে সে নিজের মজ্জির মত জীবনে চলবে ,কিন্তু পারে কোই এখন যেন আগের ইংরেজদের থেকেও আমরা আমাদের দেশে আমাদের ই লোকেদের হতে বড় বেশি পরাধীন এযেন আরো বেশী কষ্টকর ।
এখন কেবল একটাই চাওয়া একদিন সত্যের ভোর টা আসুক ,বুকে বল রেখে সকল দুঃখের অবসান ঘটিয়ে
নিজের ঘরের পরাধীনতার শিকলটা ছিঁড়ে যাক।
গানের ভাষায়- মোদের মনে আছে বিশ্বাস
আমরা করি বিশ্বাস
সত্যের ভোর আসবেই একদিন
একদিন একদিন।