আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে
মহাকাশে গ্রীষ্মের উষ্ণতম দিনে
এক উজ্জ্বল নক্ষত্র মধ্যগগনে,
সর্বাঙ্গ বেষ্টিয়া তার পূর্ণদ্যুতি কিরণে
উৎসুক আনন্দিত ধরণী।
দিবালোকে বাজিল শঙ্খ
মন্দ্রিয়া উঠিল কূলে কূলে,
প্রাণ সাগরে উঠিয়া উঠিল আনন্দবারি
আজ ২৫ শে বৈশাখ।
জন্ম মৃত্যুর সীমানা ছাড়িয়ে
কল্পলোকে তব বাস,
তবু আজও আছো মনের গহনে
তুমি তো আমার মহারাজ।
শয়নে স্বপনে, মননে, চিন্তনে,
জাগরণে চিরকাল,
কৈশোরের প্রেমাঞ্জলী উৎসর্গ করি তব চরণে
হে আমার প্রাণনাথ।
রূপকার তুমি!
সৃজনশীলতাকে, সৃষ্টিকে, সুন্দরকে, কাব্যকে অপরূপ স্বপ্নকে সঞ্চারিত করে,
সাহিত্যকে পৌঁছে দিয়েছ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দরবারে।
যে মহিমাকে মায়াবী কল্পনায়
বনবিতানের শীতল ছায়ায়,
স্নিগ্ধসুন্দর অনুভূতিকে সিক্তরসে
সঞ্চারিত করেছো মম হৃদয়ে।
তোমার অনুপ্রেরণায় নিজেকে করেছি সমৃদ্ধ,
কাব্য, নাটকে, গীত আলেখ্যে,
নিজেকে ভেঙেছি বারবার
কখনো কঠিন হয়ে, কখনো মায়া মমতায়।
আমার স্বাধীনচেতা মনের গহনে,
দৃষ্টি প্রদীপ জ্বেলে দেখি,
এ সমাজে নারীরা উপেক্ষিত হয়ে
অভিশপ্ত জীবন কাটায়।
তখন তোমার পানে চেয়ে দেখি
তোমার চোখে হীরে, মানিক জ্বলে,
কোন মেঠো পথে বাউলের একতারার সুরে,
ভেসে বেড়াও তুমি, অবাধ গতিতে সানন্দে।
কত যুগ আগে দূর দৃষ্টিতে তুমি দেখেছিলে,
এ সমাজে নারীর অবক্ষয়ের ব্যাথা
তোমার সৃষ্টি ভান্ডারের অমৃতধারা মন্থন করি,
আমার যুক্তিতর্করা পায় সমাধান।
সুন্দরবটে তব অঙ্গদখানি
তারায় তারায় খচিত,
স্বর্ণে রত্নে শোভন লোভন জানি
বর্ণে বর্ণে রচিত।।