এ ভরা বাদর
বৃষ্টির ফোঁটা!! আর তুই থাকবি না?
সেটা কি করে হবে বলতো মৃত্যুঞ্জয়?
জানিস সেদিন স্বপ্নে দেখি,
আমার বৃষ্টি, চিলেকোঠার বারান্দা জুড়ে ,
চিবুক বেয়ে গড়িয়ে পরা রাশি রাশি সাদা ফেনিল দুধের মত।
তোর সাথে ঝড়ের রাতে অভিসারে
তোর সাথে বৃষ্টি ভেজা ফুটপাথে,
কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম কার্পেট, যেখানে
বসে শুধু আমরা দুজনাতে।
আমার সুখের বৃষ্টি তুই শুধু তুই!
আমার শোকের ছায়ায়, ঘন কালো মেঘ উঠলো জমে!
দারুণ বজ্রপাতে কেঁপে উঠছে রাস্তা শহরতলী!
ডানা ভাঙা পাখির মত শিউরে উঠে ঝাপটাতে ঝাপটাতে,
তোর বুকেই নিয়েছি আশ্রয়।
ঝরে পরা হীরক রাশি ভিজিয়েছে আমার কুন্তল,
নিকষ অন্ধকারে তোর হাত ধরে,
পেরিয়েছি কতক জেব্রা ক্রসিং।
ঝিনুক ঝিনুক জলে
পথের শেষে এলো এক নদী,
বলল নদী যাবি আমার সাথে? দূরে অনেক দূরে!
ঘাটে ছিল একটা ডিঙা,দিলাম কাছি খুলে।
উজানের সাথে গেলাম চলে ভাসতে ভাসতে ভাসতে,
পেরিয়ে গেলাম কত না গ্রাম,কতক শহর।
হঠাৎ কানে এল গীর্জার ঘন্টা ধ্বনি, ভোরের আজান,
মায়ের ঠাকুর ঘরের শঙ্খনাদ
পাখির কলতান।