তুমি নেই তবুও আছো
জানি তুমি আর আসবে না,
আসবে না ওই শহর তলির শিশির মঞ্চের সীমানায়।
তুমি আসবে না মোদের লাইব্রেরির ওই মাঠে।
জানি তুমি আসবে না,
তবুও তুমি আছো মোদের হৃদয় মাঝে।
তুমি আসবে আমাদের কণ্ঠস্বরে,
তুমি আসবে আমাদের নাচের তালের মাঝে।
তুমি আসবে বৈশাখী সন্ধ্যায় সান্ধ্য কালীন অনুষ্ঠান এর উদ্বোধনী সংগীতে।।
আমি জানি তুমি আছো।
আমি জানি তুমি আসো।
আমি জানি তুমি আসবে আজীবন কাল,
যুগ থেকে যুগ।
মাসের পর মাস, বছরের পর বছর,
তুমি আসবে আমাদের মাঝে অন্তহীন হয়ে।
তুমি নাইবা রইলে বেঁচে
তবুও আছো মোদের হৃদয় জুড়ে।
তুমি আছো উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো,
তুমি আছো, যেমন করে ঘন কালো মেঘে ঢাকা আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ থাকে।
যেমন করে গোটা আকাশ জুড়ে তারাদের মাঝে শুকতারাটি জ্বলজ্বল করে, ঠিক তেমন করেই আছো।
তবুও সবাই বলে তুমি নেইকো এই ত্রিভুবন জুড়ে।।
মিছে কথা কয় লোকে,
মিথ্যুকের দল সব।
নোবেলটা তোমার করল চুরি,
মানব জাতির কলঙ্ক মোরা,
একটুও হাত কাঁপলো না,
মানব মাঝে হিংসা বিবাদ
দুর্নীতি তে ভরা।।
জন্ম থেকে মৃত্যু
তুমি আছো।
এক বংশ থেকে শত বংশ
তুমি আছো।।
শুরু থেকে শেষ তুমি আছো।
শুরুতেই উদ্বোধনী তে তুমি আছো।
শেষে সেই গান, তাতেও তুমি আছো।
মন ছুঁয়ে যাওয়ার গান,
দু আঁখি তে জল আসার মতো গান "যখন পরবে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে "।।
এখানেও তুমি আছো।
তুমি যে রবি,
পৃথিবীতে যত দিন সূর্য আছে
তার কিরণের মতো তুমি থাকবে মোদের মাঝে।
এই ভাবে চিরজীবন তুমি থাকবে বেঁচে এই মানব মাঝে ধরিত্রীর বুকে।।
তুমি নেই ঠিকই তবুও আছো,
মন প্রাণ জুড়ে।।